প্রহলাদ মন্ডল সৈকত,রাজারহাট(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
নদী ভাঙন ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা করতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব, অসহায়,কর্মহীন রেলস্টেশনে ভাসমান একটি পরিবার নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। আর ভাসমান ওই পরিবারকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল ইমরান।
জানা যায়, উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চর বিদ্যানন্দ গ্রামের সুরুজ মিয়া (৫০) দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি তার পেট অপারেশন করেন। অপারেশন ও চিকিৎসায় নিঃস্ব হয়ে যায় তার পরিবার। এর আগে তিস্তা নদী ভাঙনে তার ভিটেমাটি টুকুও নদী গর্ভে বিলীন হয়েছিল। ফলে সহায় সম্বলহীন অবস্থায় গত কয়েকদিন পূর্বে দুই সন্তান ও তার স্ত্রীকে নিয়ে রাজারহাট রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফর্মে আশ্রয় গ্রহন করেন। এরপর থেকে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছিল ওই পরিবারটির। গত সোমবার সকালে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়। খবর পেয়ে ওইদিন দুপুরে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল ইমরান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এবং বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম রাজারহাট রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে সুরুজ মিয়ার পরিবারের খোঁজখরর নেন।
তাৎক্ষনিকভাবে ওই পরিবারকে ২০ কেজি চাউল, ২কেজি ডাল, ১লিটার তেল, ২টি কম্বল এবং ২প্যাকেট শুকনো খাবার দিয়ে দেন। এসময় কেঁদে ফেলে সুরুজ মিয়া বলেন, স্যার হামাক নয়া করি বাঁচার স্বপ্ন দেখাইছে।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল ইমরান বলেন, সুরুজ মিয়ার পরিবারকে আপাতত একটি গুচ্ছ গ্রামের আবাসনের একটি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া তার পরিবারকে অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।
