ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
আমি বুঝি গণতন্ত্র, আমি বুঝি মানুষের অধিকার। ইউনূস সরকারের প্রধান দায়িত্ব একটা নির্বাচন করা। সবাই মিলে আমরা অধ্যাপক ইউনূস সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছি।তিনি অনেক জ্ঞানী ও নোবেলবিজয়ী মানুষ,তবে রাজনীতিবিদ নন। গত ১৫ বছর দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এখন একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের স্বার্থে,মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে নির্বাচন দেওয়া আপনাদের প্রধান কর্তব্য। সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা আপনাদের উচিত।”নির্বাচনের সঠিক দিনক্ষণ ও সঠিক রোডম্যাপ দেন অতিশিঘ্রই।”এদেশের মানুষ তাদের নিজস্ব সরকার দেখতে চায়। বর্তমানে এমপি নাই, সমস্যা হলে কার কাছে যাবেন। এ জন্য আমরা বারবার করে বলছি, সংস্কারটাও হউক, নির্বাচনটাও হোক।
গত সোমবার ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের খাগড়াবাড়ি শেখ বাজারে গণসংযোগের অংশ হিসেবে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
হিউম্যানিটরিয়াল প্যাসেজ এঁর ব্যপারে তিনি বলেন,সরকারের উচিত ছিল, দায়িত্ব ছিল এই বিষয়টা নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলা। এটা কথা না বলে তারা (সরকার) এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে হিউম্যানিটরিয়াল প্যাসেজ দেওয়ার জায়গা দিচ্ছে। মানুষকে সাহায্য করার ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। জাতিসংঘ যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে এটা হতে হবে সব মানুষের সমর্থনে। আমরা আরেকটা গাজায় পরিণত হতে চাই না উল্লেখ করে বলেন, আমরা আরেকটি যুদ্ধের মধ্যে জড়াতে চাই না। আমাদের এখানে এসে আরও কেউ গোলমাল করুক, সেটিও আমরা চাই না। একে তো আমরা রোহিঙ্গা নিয়ে বড় সমস্যায় আছি, তার ওপর প্যাসেজ দেওয়া নিয়ে যাতে সমস্যার সৃষ্টি না হয় এ জন্য আলোচনা করে এটাতে যাওয়া উচিত ছিল বলে আমরা মনে করি।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ দেশটাকে জাহান্নামে পরিণত করেছিল। হামলা - মামলা, গুম, খুন, নির্যাতনসহ কোটি কোটি টাকা লুট করেছে তারা। দেশের মানুষ অস্থির হয়ে জীবন দিয়ে রক্ত দিয়ে হাসিনাকে উৎখাত করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, গণ-অভ্যুত্থানের পরে বেগম জিয়া হাসপাতাল থেকে একটি বাণী দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অনেক নির্যাতন হয়েছে, রক্তপাত ঘটেছে। আসুন সব প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে আমরা একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ি। সবাই মিলে সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ে তোলারও আহবান জানান তিনি।
এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন,। সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ,
অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ, সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুল ইসলাম মুন্না, সদস্য সচিব কামরুজ্জামান কামু, যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদ হাসান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েসসহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।